সাকিব আল হাসান 


সাকিবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর বিষয়ে তদন্তের সময় তিনি কোনো কিছুই অস্বীকার করেননি বা তথ্য গোপনের চেষ্টা করেননি বলে নিশ্চিত করেছে আকসু। আর এ কারণেই অতীত রেকর্ড এবং অন্যায় বুঝতে পেরে তা স্বীকার করার কারণে তার প্রতি নমনীয় হয়েছে আইসিসি।

আকসুর ৩টি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাকিব নিষিদ্ধ হলেও তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছিল ১৬টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ। যেখানে ছিল ম্যাচ ফিক্সারের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগসহ তার সঙ্গে দেখা করতে চাওয়ার মতো ঘটনা। তবে কী কী কারণে শাস্তি কমিয়েছে আকসু ও অতিরিক্ত ১ বছর সাজা মওকুফ পেতে কী কী করতে হবে তাও জানিয়েছে আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট।


২০১৭ বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক ছিলেন সাকিব। সেই বিপিএলে তার বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার তথ্য গোপনের অভিযোগ এনেছে আকসু। সাকিবের সঙ্গে জুয়াড়ি দিপক আগারওয়ালের একাধিকবার ফোন কল ও হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের প্রমাণ পেয়েছে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিট।

পরের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ের ত্রিদেশীয় সিরিজেও আগারওয়ালের কাছে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পান সাকিব। ১৯ জানুয়ারি সাকিবের মোবাইলে আগারওয়াল বার্তা পাঠায় ‘আমরা কি একসাথে কাজ করব নাকি আইপিএল পর্যন্ত অপেক্ষা করব? সে মাসেরই ২৩ তারিখে আবারও সেই বুকি সাকিবকে বার্তা দেয়, ‘ব্রো এনিথিং ইন দিস সিরিজ?’ যদিও, এবারও সাকিবের পক্ষ থেকে কোএনা ইতিবাচক সাড়া দেয়া হয়নি বলেই জানিয়েছে আকসু।

এরপর, একই বছর ২৬ এপ্রিল আইপিএলে সাকিবের দল সানরাইজার্স হায়দারাবাদের সঙ্গে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের ম্যাচে আবারও সাকিবের সঙ্গে আগারওয়ালের যোগাযোগের প্রমাণ পায় আকসু। বোমা ফাটানোর মতো তথ্য হলো- সাকিব নাকি সেই জুয়ারির সঙ্গে দেখাও করতে চেয়েছিলেন। সে সময়কার কিছু ক্ষুদে বার্তা সাকিব মুছেও দেন বলে অভিযোগ করেছে আকসু। কিন্তু এসব কিছুই বিসিবি কিংবা আইপিএল কর্তৃপক্ষকে জানায়নি সাকিব। যা-ই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের জন্য।

২০১৯ এর জানুয়ারিতে আইসিসির দুর্নীতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা-আকসু সাকিবকে প্রথম জিজ্ঞাসাবাদ করে। একই বছর ২৭ আগস্ট দ্বিতীয় দফা সাকিবের সঙ্গে বসে আকসু।সাকিবের বিরুদ্ধে ১৬টি অভিযোগ এনেছে ক্রিকেটের অ্যান্টি করাপশন ইউনিটটি।